বাংলাদেশের নদ নদী

বাংলাদেশের নদ নদী বাংলাদেশের এক অপরিহার্য অংশ। এসব নদ নদী বাংলাদেশের আশীর্বাদস্বরূপ। বাংলাদেশের নদ নদীর ভূমিকা বলে বা লেখে শেষ করা যাবে না।

এখানে বাংলাদেশের নদ নদী বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য সমূহ আলোচনা করা হয়েছে, যেটা বিশেষ বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

  • বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত শাখা-প্রশাখা সহ মোট নদীর সংখ্যা ২৩০ টি 
  • বাংলাদেশের উপর দিয়ে আন্তর্জাতিক নদীর সংখ্যা সংখ্যা ৫৭ টি
  • বাংলাদেশ ও ভারত অভিন্ন নদী নদী  ৫৪ টি 
  • বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক নদী- পদ্মা বা গঙ্গা 
  • বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশকারী নদী – কুলিক 
  • বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদী – মেঘনা
    • গভীরতম নদী – মেঘনা
    • প্রশান্ততম নদী – মেঘনা 
  • বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদী – ব্রহ্মপুত্র
    •  প্রধান শাখা – যমুনা 
  • বাংলাদেশের একমাত্র খরস্রোতা নদী – কর্ণফুলী 
  • নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট অবস্থিত – ভাঙ্গা ফরিদপুর, প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ১৯৭৭ সালে 
  • নদী সমূহ প্রবাহিত হয় সর্পিল বা বিনুনি গতিতে 
  • নদী শিকস্তি – নদী ভাঙ্গনে যারা সর্বস্বান্ত হওয়া জনগণ
  • নদী পয়স্তি – নদীর চর জাগলে যারা সেখানে চাষাবাদ করে  
  • বাংলাদেশ ও ভারতকে বিভক্তকারী নদী – হাড়িয়াভাঙ্গা
  • বাংলাদেশ ও মায়ানমারকে বিভক্তকারী নদী নাফ
  • বাংলাদেশের ভিতরে দুই ভাগ হয়ে কিছু দূর প্রবাহিত হওয়ার পর পুনরায় মিলিত হয়েছে – মেঘনা 
  • দুই ভাগ হয়ে মেঘনা সুরমা ও কুশিয়ারা নামে প্রবাহিত এবং সুরমা ও কুশিয়ারা পুনরায় মিলিত হয়ে কালনী নামে প্রবাহিত
  • কালনী ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র ভৈরব এর নিকট মিলিত হয়ে নাম ধারণ করেছে মেঘনা এবং মেঘনা পতিত হয়েছে বঙ্গোপসাগরে 
  • বাকল্যান্ড বাঁধ বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত
  • বুড়িগঙ্গা নদীর শাখা নদী – ধলেশ্বরী 
  • যমুনা নদীর শাখা নদী – ব্রহ্মপুত্র 
  • মণিপুর রাজ্যে অবস্থিত টিপাইমুখ বাঁধ নির্মিত ২০১২ সালে 
  • তুই ভাই ও তুই রয়ং মিলিত স্রোত ধারায় সৃষ্টি হয়েছে – বরাক নদী 
  • নদীর নাম অনুসারে যে জেলা – ফেনী 
  • ব্যক্তির নাম অনুসারে নদীর নাম – রুপসা ( রুপলাল সাহা)
  • কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র অবস্থিত কর্ণফুলী নদীর উপর, ১৯৬২সালে নির্মিত 
  • এই দেশের জল সীমায় উৎপন্ন ও সমাপ্তি হওয়া নদী – হালদা
  • বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়ে পুনরায় বাংলাদেশে প্রবেশকারী নদী – আত্রাই, মহানন্দা (পুনর্ভা, টাঙ্গন)
  • কুমিল্লার দুঃখ বলা হয় – গোমতী নদীকে, কারণ এখানে জোয়ার ভাটা হয় না 
  • বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের লাইফলাইন(জীবন রেখা) বলা হয় – বিল ডাকাতিয়াকে
  • বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের লাইফলাইন (জীবনরেখা) বলা হয় – তিস্তা নদীকে
  • নিঝুম দ্বীপ অবস্থিত – মেঘনা নদীর মোহনায় 
  • কর্ণফুলী নদী বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের ভিতর দিয়ে প্রবেশ করেছে 
  • ১৭৮৭ সালে ভূমিকম্পের কারণে ব্রহ্মপুত্র বিভক্ত হয়ে যমুনা নদীর উৎপত্তি
  • নদীর নামে নামকরণ – টেকনাফ(থানার নাম)
  • মহিলা নদী অবস্থিত – দিনাজপুর জেলায়
  • পুরুষ নদী ও বাঙালি নদী অবস্থিত – বগুড়া জেলায় 
  • ভোলা নদী ও পশুর নদী অবস্থিত – বাগেরহাট জেলায় 
  • ফুলেশ্বরী নদী অবস্থিত – কিশোরগঞ্জে
  • রজতরেখা নদী অবস্থিত – মুন্সীগঞ্জে 
  • কারখানা নদী অবস্থিত – পটুয়াখালীতে
  • চেঙ্গী নদী অবস্থিত – খাগড়াছড়িতে 
  • তেতুলিয়া নদী অবস্থিত – ভোলা জেলায়
  • ধানসিঁড়ি নদী অবস্থিত – বরিশালে 
  • গুণে-মানে বিশ্বের সবচেয়ে বিশুদ্ধ পানি মেঘনা নদীর
  • যে নদীতে পাশাপাশি দুই রঙের স্রোত দেখা যায় – যমুনা নদী

বাংলাদেশের নদ নদী পিডিএফ আকারে পড়ুন

বাংলাদেশের নদ নদী

নদীর পূর্ব ও বর্তমান নাম

বর্তমান নামপূর্ব নাম
পদ্মাকীর্তিনাশা 
যমুনাজোনাই খান
বুড়িগঙ্গাদোলাই নদী/খাল
ব্রহ্মপুত্রলোহিত্য

স্মৃতি বিজড়িত নদ-নদী

নামনদ/নদীর নাম
মাইকেল মধুসূদন দত্তকপোতাক্ষ নদ 
জীবনানন্দ দাশধানসিঁড়ি 
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনব্রহ্মপুত্র
আল মাহমুদ, অদ্বৈত মল্লবর্মণ তিতাস
এস এম সুলতান চিত্রা
রবীন্দ্রনাথ ইছামতি, পদ্মা, বড়াল

বাংলাদেশের নদ নদীর উৎপত্তিস্থল

নদীর নামউৎপত্তিস্থল
পদ্মা হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে
মেঘনাআসামের লামা মনিপুর পাহাড়ের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত লুসাই পাহাড় থেকে
যমুনা/ব্রহ্মপুত্র কৈলাস শৃঙ্গের মানস সরোবর থেকে 
কর্ণফুলী মিজোরামের লুসাই পাহাড় থেকে 
সাঙ্গু মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমানার আরাকান পাহাড় থেকে 
তিস্তাসিকিমের পর্বত অঞ্চল 
মাতামুহুরী লামার মাইভার পর্বত 
করোতোয়া সিকিমের পর্বত অঞ্চল 
মহানন্দা হিমালয় পর্বতের মহালদিরাম পাহাড়ে 
হালদা খাগড়াছড়ির বাটনাতলী পাহাড়ি এলাকা

শাখা নদী

নদীর নামশাখা নদী
যমুনাধলেশ্বরী, বুড়িগঙ্গা
পদ্মা ভৈরব, ইছামতি, কপোতাক্ষ,মধুমতি, আড়িয়ালখাঁ, গড়াই, মাথাভাঙ্গা

উপ নদী

নদীর নাম উপনদী
পদ্মাটাঙ্গন, পুনর্ভবা, নাগর কুলিক, গঙ্গা 
মেঘনা শীতলক্ষ্যা, গোমতী, ডাকাতিয়া, তিতাস, বাউলা 
যমুনা তিস্তা, ধরলা, করতোয়া, আত্রাই, বাঙালি 
কর্ণফুলীহালদা, কাপ্তাই, গোয়ালখালী, কাসালং

বাংলাদেশের নদ নদীর প্রবেশদ্বার

নদ নদীপ্রবেশদ্বার
পদ্মা রাজশাহী/চাঁপাইনবাবগঞ্জ 
মেঘনা, সুরমা ও কুশিয়ারা সিলেট 
ব্রহ্মপুত্রনাগেশ্বরী, কুড়িগ্রাম
কর্ণফুলী রাঙ্গামাটি
নাফ টেকনাফ, কক্সবাজার 
তিস্তা নীলফামারী 
সাংগুমাতামুহুরী, বান্দরবান

বাংলাদেশের নদ নদীর মিলনস্থান ও মিলিত নাম

নামমিলন স্থানমিলনের পরে নাম
পদ্মা ও যমুনা আরিচা/গোয়ালনয়া (রাজবাড়ী) পদ্মা 
সুরমা ও কুশিয়ারা ভৈরব(আজমেরীগঞ্জ) কালনী
পদ্মা ও মেঘনাচাঁদপুর মেঘনা 
হালদা ও কর্ণফুলী চট্টগ্রাম(কালুরঘাট) কর্ণফুলী 
বাঙালি ও যমুনা বগুড়া
ব্রহ্মপুত্র ও কালনীভৈরব 
তুই ভাই ও বরাক  আসাম বরাক 
তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র কুড়িগ্রাম 
রূপসা ও ভৈরব খুলনা 
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা ভৈরব বাজার 

নদীর তীরবর্তী শহর ও স্থান 

জেলা/শহর/স্থাননদীর নাম
ঢাকা, লালবাগের কেল্লা, আহসান মঞ্জিল বুড়িগঙ্গা
চট্টগ্রাম, চন্দ্রঘোনা, কাপ্তাই কর্ণফুলী 
রাজশাহী, শিলাইদহ, মাদারীপুর, সারোদা, পাকশী, ভেড়ামারা,
শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, আরিচা ঘাট, মাওয়া ঘাট, গোয়ালন্দ, দৌলদিয়া ঘাট  
পদ্মা
চাঁদপুর, আশুগঞ্জ, সার কারখানা, ভৈরব, সোনারগাঁও মেঘনা 
রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাটতিস্তা 
সিলেট, ছাতক, সুনামগঞ্জ সুরমা 
নাটোর,গাইবান্ধা, নওগাঁ আত্রাই 
কক্সবাজার, টেকনাফ নাফ
মংলা বন্দর, চালনা বন্দরপশুর 
বগুড়া, মহাস্থানগড়, পঞ্চগড় করোতোয়া 
ময়মনসিংহ, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ পুরাতন ব্রহ্মপুত্র 
বরিশাল কীর্তনখোলা 
যশোরকপোতাক্ষ ও ভৈরব 
খুলনা ভৈরব ও রূপসার মিলনস্থল
কুষ্টিয়াগড়াই 
ফরিদপুর আড়িয়াল খাঁ 
নারায়ণগঞ্জ শীতলক্ষ্যা
গোপালগঞ্জ টুংগীপাড়া মধুমতি 
ঠাকুরগাঁও টাঙ্গন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বাংলাবান্ধা মহানন্দা 
কুমিল্লা গোমতী 
পতিসর নাগর 

ফেরিঘাট 

নাম স্থান
মাওয়া মুন্সিগঞ্জ
কাওড়াকান্দি মাদারীপুর
দৌলদিয়া গোয়ালন্দ 
পাটুরিয়া মানিকগঞ্জ 
আরিচা মানিকগঞ্জ 
নগরবাড়ি পাবনা

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের নদ নদী সম্পর্কিত এসব তথ্য একত্র করেছেন
সাজেদুল ইসলাম
গণিত বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
গোপালগঞ্জ

Leave a Reply